কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে হাওরের প্রবেশমুখ বালিখোলায় ইটনা, মিটামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক হ্যান্ডবিল, লিফলেট, স্টিকার, ক্যাম্পেইন ও বিলবোর্ড স্থাপন করেছে করিমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বালিখোলায় এ সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাড়াও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নেন সুতারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন ভূইয়া, বারঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলার চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ কামরুল আহসান কাঞ্চন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
পলাশ কুমার বসু বলেন, হাওরের পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় হাওড়ে যেকোনো ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে জনগনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।
এছাড়া ফিটনেস বিহীন ট্রলার, লঞ্চ ও স্প্রীডবোট যেন না চালান সেজন্য সংশ্লিষ্ট নৌ-চালকদের সতর্ক বার্তাসহ নিন্মোক্ত নির্দেশনা মানার জন্য হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক ও উপস্থিত সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।
পর্যটক ও সংশ্লিষ্টদের জন্য জারিকৃত সতর্ক বার্তাসমূহঃ-
১. সাতার না জেনে এবং পানির গভীরতা সম্পর্কে অবগত না হয়ে যত্রতত্র পানিতে না নামা।
২. চলন্ত নৌযানে/নৌকার কিনারায় বা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অবস্থান না করা।
৩. যাত্রপথে নিরাপত্তার স্বার্থে লাইফ জ্যাকেট বা লাইফ বয়া ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৪. বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তারের সন্নিকটে নৌকা গমনে সতর্কতা অবলম্বন করা।
৫. সন্ধ্যার পর এবং বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে নৌকায় ভ্রমণ পরিহার করা।
৬. নৌকায় উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র না বাজানো।
৭. কোনো অচেনা স্থানে ভ্রমণে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কোন ধরনের লেনদেন, ভ্রমণ বা খাদ্যগ্রহণ হতে বিরত থাকা।
৮. হাওরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষার্থে ময়লা আবর্জনা (বিশেষ করে পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট) ইত্যাদি পানিতে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা।
৯. ২০০ মিটারের কম যাত্রীবাহী নৌযানে সর্বোচ্চ ২০ জন যাত্রী ও ৪০ হর্স পাওয়ার এর নিচে যাত্রীবাহী স্পীডবোর্ডে সর্বোচ্চ ১০ জনের বেশি যাত্রী ভ্রমণ না করা।
১০. হাওরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা।