কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচা আব্দুর রাজ্জাক লেবু মিয়া (৮০) কে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা মোস্তাকিন মিয়ার বিরুদ্ধে। হত্যার পর নিজের গলা নিজেই কেটে আহত হন ভাতিজা মোস্তাকিন মিয়া (২৫)।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের গাঙ্গাইল পাঠানপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক লেবু মিয়া (৮০) পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত মেওয়া মিয়ার ছেলে এবং আহত মোস্তাকিন মিয়া (২৫) একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুর রাজ্জাক লেবু মিয়া তাঁর প্রতিবেশী এবং চাচাতো ভাতিজা মোস্তাকিন মিয়াকে অস্বাভাবিক চলাফেরা করতে দেখে ভালো ভাবে এলাকায় চলাফেরা করার জন্য বলেন। এ কথা শুনে মোস্তাকিন উত্তেজিত হয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু করেন। একপর্যায়ে মোস্তাকিন তাঁর ঘর থেকে দা নিয়ে এসে লেবু মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে লেবু মিয়া গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু করে। পরে অভিযুক্ত মোস্তাকিন তাঁর হাতে থাকা দা দিয়ে নিজের গলায় পোঁচ দিলে গলায় গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা এসে লেবুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। মোস্তাকিনের গলায় গুরুতর জখম দেখতে পেয়ে দ্রুত কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লেবু মিয়ার মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মোস্তাকিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানে হয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।