পটিয়া (চট্টগ্রাম) :
জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ও জাতীয় পার্টিকে নিঃশেষ করার জন্যই এমন হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় যুব সংহতির নেতা এম ইরফান হোসেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) নিজের ফেইসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এর মন্তব্য করেন তিনি বলেন, বিগত দেড় যুগে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কারণে কতটা ঝুঁকির মধ্যদিয়ে জাতীয় পার্টি দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেটি সবাই জানেন। কিন্তু তারপরও ৩১শে অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতা নামধারী কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাতীয় পার্টির কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর লুটপাট, অগ্নিকান্ড ঘটায়। এছাড়াও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে থাকা জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের মুরোলে আঘাত করেন যে আঘাত আমাদের হৃদয়ে এসে লেগেছে, এবং ২ নভেম্বর সন্ধ্যায়, খুলনা জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সেখানে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল নিষ্ক্রিয়। এমনকি আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক গাড়ি আসতে চাইলে তাদেরকেও বাধা দেওয়া হয়। ভাঙচুর ও আগুনে জাতীয় পার্টির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি তিন-চারজন ব্যক্তি জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের হামলা চালিয়েছেন গণধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতা এবং কিছু সংখ্যক টুকাইও ছিল।
এম ইরফান হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির দুজন কর্মী শহীদ হয়েছেন। তবু ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে জনগণ থেকে জাতীয় পার্টিকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা এ ঘটনার এবং জাতীয় পার্টি বিরোধী চক্রান্তের তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও খুলনাসহ দেশের যেসব স্থানে জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা হয়েছে তার সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শান্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এসময় তিনি চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং গণ-আন্দোলনে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।